বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

দেশ | সন্তান লালন পালনের জন্য চাকরি ছেড়ে দেওয়া মহিলাদের খোরপোশের অধিকার রয়েছে: দিল্লি হাই কোর্ট

AD | ১৪ মে ২০২৫ ১৬ : ১৯Abhijit Das


আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোনও মহিলার সন্তানের যত্ন নেওয়ার জন্য চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্বেচ্ছায় বেকারত্ব হিসেবে গণ্য হবে না। তাঁরও ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বুধবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই কথা জানিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। আদালত আরও বলেছে, যে ভরণপোষণের পরিমাণ নির্ধারণের সময় স্ত্রীর উপার্জন ক্ষমতা নয়, বরং তাঁর প্রকৃত আয় বিবেচনা করা উচিত।

২০২৩ সালে এক মহিলা এবং তাদের ছয় বছরের ছেলেকে প্রতি মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে দেওয়ার আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মহিলার স্বামীর আবেদনের শুনানি চলছিল হাইকোর্টে। ওই ব্যক্তি আদালতে জানান, তিনি জেলা আদালতে একজন আইনজীবী ছিলেন এবং আয় মাত্র ১০,০০০-১৫,০০০ টাকা। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী উচ্চশিক্ষিত এবং শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার আগে মাসে ৪০,০০০-৫০,০০০ টাকা আয় করতেন। আবেদনকারী যুক্তি, যেহেতু তাঁর স্ত্রী উপার্জন করতে সক্ষম, তাই তিনি ভরণপোষণের অধিকারী নন। আদালতে ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি আর্থিক ও মানসিকভাবে সংঘর্ষ করছেন এবং ভরণপোষণের আদেশ মেনে চলতে পারছেন না।

২০১৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ওই দম্পতি। ২০১৭ সাল থেকে তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। স্বামীর বিরুদ্ধে ওই মহিলা হিংসা এবং মানসিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। যদিও ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, স্ত্রী এবং ছেলের সঙ্গে থাকতে তাঁর কোনও সমস্যা নেই।

মহিলার আইনজীবী আদালতে জানান, ওই ব্যক্তির ওকালতি থেকে আয় ছাড়াও ভাড়া থেকে স্থায়ী উপার্জন রয়েছে। আদালত নির্দেশে জানায়, আবেদনকারী নাবালক ছেলেকে দেখাশোনার দায়িত্বের কারণে চাকরি করতে পারছেন না। অতীতের শিক্ষকতার চাকরি তাঁকে ন্যায্য ভরণপোষণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।

ওই মহিলা আদালতে জানান, তিনি একজন শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু যাতায়াতে দীর্ঘ সময় লেগে যেত এবং বাড়ির কাছে কোনও চাকরি না পাওয়ায় তাঁকে চাকরিটি ছেড়ে দিতে হয়েছিল। মহিলা জানিয়েছেন, একা অভিভাবক হিসেবে তাঁর নাবালক সন্তানের যত্ন নেওয়ার জন্য তাঁকে শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দিতে হয়েছিল।

আদালত এরপর জানায় চাকরি ছাড়ার ব্যাপারে মহিলার বক্তব্য 'যুক্তিসঙ্গত এবং ন্যায্য'। বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় উদ্ধৃত করে বলেন, কেবল উপার্জন করার ক্ষমতা এবং প্রকৃত উপার্জন এক নয়। শুধুমাত্র উপার্জন করার ক্ষমতা থাকাই ভরণপোষণ কমানোর বৈধ কারণ নয়।

আদালত আরও বলেছে, পারিবারিক আদালত স্বামীর মাসিক আয় ৩০,০০০ টাকা নির্ধারণ করেছে কারণ তিনি ২০১০ সাল থেকে কর্মরত ছিলেন। এটি সম্পূর্ণরূপে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট।

বিচারপতি বলেন, "আবেদনকারীর দাখিল করা আয়ের হলফনামা এখানে বিবেচনা করা হয়নি। এই বিষয়টি বিবেচনা করে, আদালত বিষয়টিকে পারিবারিক আদালতে ফেরত পাঠানোর জন্য উপযুক্ত বলে মনে করে। পারিবারিক আদালত অন্তর্বর্তীকালীন ভরণপোষণের আবেদনটি পুনরায় পুনর্বিবেচনা করবে। বিশেষ করে উভয় পক্ষের দাখিল করা আয়ের হলফনামা এবং ব্যাঙ্কের তথ্য বিবেচনা করে। আইন অনুসারে যুক্তিসঙ্গত আদেশ দেবে। এই আদেশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন করতে হবে।" 

আদালত আরও বলেছে, "ততদিন আবেনদকারীকে স্ত্রীকে সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ছেলেকে সাড়ে চার হাজার টাকা ভরণপোষণের জন্য দিতে হবে।"


Delhi High CourtAlimony

নানান খবর

নানান খবর

ভারতের এই শহরে আমিষ খাবার ছুঁয়ে দেখাও পাপ, বিশ্বের আর কোনও দেশে নেই এমন জায়গা

বড় নাশকতার ছক কষেছিল? দিল্লির হোটেল থেকে গ্রেপ্তার আইএসআই এজেন্ট

সুঁচ না ফুটিয়েই রক্ত পরীক্ষা করে দেবে এআই! নয়া প্রযুক্তি নিয়ে এল হায়দরাবাদের হাসপাতাল

পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলার এক মাস: পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতে ভারতের পাঁচটি বড় পদক্ষেপ

দিল্লিতে দুর্যোগ, ধুলোঝড়-প্রবল শিলাবৃষ্টি, মাঝ আকাশে বিপর্যয়ের মুখে বিমান

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাড়তে হবে দেশ, ভারতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা পাক হাই কমিশনের আরও এক আধিকারিককে

আমেরিকার ‘গোল্ডেন ডোম’, ইজরায়েলের ‘আয়রন ডোম’, ভারতের তুরুপের তাস কী? জানলে অবাক হবেন

স্বামীর কথায় অসন্তোষ, মাঝরাস্তায় জুতো নিয়ে ‘জুতোজুতি’ স্ত্রীর, রইল ভিডিও

চলন্ত ট্রেন থেকে ছুঁড়ে দিয়েছিল! নীল সুটকেস খুলতেই শিউরে ওঠা ঘটনা

'আক্ষেপ নেই', একাধিক পাক-চরের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জ্যোতির! জেরায় বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস

বিয়ে করে সোনার গয়না নিয়ে ধা, একে একে শিকার ২৫ জন! অবশেষে পুলিশের জালে ‘লুটেরি দুলহন’

ফের ফিরবে লকডাউনের স্মৃতি!‌ দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা, কোন রাজ্যে সবথেকে বেশি জানুন  

কাকা শ্বশুরের প্রেমে অন্ধ, স্বামী-ছেলেকে বাড়িতে রেখে বধূ যা করলেন, ছুটে এল পুলিশ

ক্ষেপনাস্ত্ররোধী বন্দুক ছিল না, বায়ুসেনা কর্তার দাবি নস্যাৎ স্বর্ণমন্দিরের প্রধান গ্রন্থীর

সোশ্যাল মিডিয়া